গুচ্ছ কবিতা : অর্ঘ্য দে

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 




অর্ঘ্য দে


অন্তর্লীন


পাতালে রেখেছি 
প্রণয় সাপের পাহারায়, 
নীল সিক্ত বিষ 
চিনে নেবে সঠিক তোমায়।

মৃত্যুর পরে থাকে না ভয়,
ঈর্ষা; অভিশাপ। 
অনতিক্রম্য আড়-বাঁশিতে 
ধুয়ে যায় পাপ। 



 চন্দ্রাহত এবং ঈশ্বর
 

চন্দ্রাহত একা জাগে পূর্ণিমার রাতে
প্রেয়সীর খুলি হাতে
প্রান্তরে ছড়ায় ভয়, লোক মুখে ঘৃণা 

বাতাসে উড়ছে প্রণয় অবিনশ্বর
শোনেন শুধু ঈশ্বর
চাঁদের আলোয় বাড়ে সখ্য, আলোচনা। 

কত যে ছাই, প্রদাহ জমেছে অন্তরে
প্রেমহীন চরাচরে
ঈশ্বর দু'হাতে নেন অশ্রুত যন্ত্রণা। 


মন খারাপের গল্প


এই যে ভালো না-লাগা 
ঘন হলে হারিয়ে যায় মনের নাব্যতা
তখন বিষাদপৃথিবীর ছায়ায় চুপচাপ বসে থাকি 
কাকতাড়ুয়ার মতো লব্ধ দৃষ্টিতে। 

সৃষ্টিতে ফিরে আসা, 
যাকে চোখে দেখা যায় না
অনেকটা ডুমুর ফুলের মতোই তার স্মৃতি-সত্তা

কেউ কেউ টর্চের আলোয় ছিঁড়ে ফেলে ভোরবেলা
খুঁজতে খুঁজতে শুধুই আয়ুক্ষয়। 
                                 
                          *****

পরকীয়া
 

পাতলা হতে হতে ছিঁড়ে যাবে 
ক্লিষ্ট শিমুল পাতা

আগুনের রংটুকু নিয়েছে পলাশ,
পুড়ছি অহর্নিশ! 

ডুরে শাড়িতে গোপন নিশ্বাস ―
কয়েদির শেষ সময়।

চাঁদের আলোয় ধরা পড়ে যায়
অপারগ প্রেমিক। 
 
                  *****