শীতল চট্টোপাধ্যায়
লিকারে
এক কাপ লাল চা ৷
চায়ের মধ্যে ছন্দিত দু'হাতের
চুড়ি বাজছে ৷
চা পাতার রঙ নিয়ে
সবুজ করছে
জীবন পাতার রঙ ৷
রোদ্দুর , মেঘলা , বৃষ্টিতে
চা গাছের সঙ্গে ওদের ছবি
লিকারে তাকায় ৷
খুঁজতে গিয়ে
চেনা নদীটা খুঁজতে গিয়ে -
খুঁজে পেলাম
পড়ে থাকা বক্ররেখা ৷
বালির ওপর উপুড় হয়ে
হাড় ভাঙা ডিঙি শব ৷
রঙচটা ছিন্ন-ভিন্ন পালের টুকরো
ডিঙি গায়ে , পাশে পড়ে ৷
বৈশাখ দাঁড়িয়ে আছে
ওইখানে ৷
চেনা নদীটা খুঁজতে গিয়ে -
খুঁজে পেলাম
পড়ে থাকা বক্ররেখা ৷
বালির ওপর উপুড় হয়ে
হাড় ভাঙা ডিঙি শব ৷
রঙচটা ছিন্ন-ভিন্ন পালের টুকরো
ডিঙি গায়ে , পাশে পড়ে ৷
বৈশাখ দাঁড়িয়ে আছে
ওইখানে ৷
একলা যেও
পাপড়ি দিয়ে জারুল তোমার ওড়না বোনে ৷
কৃষ্ণচূড়া বলবে কিছু তোমার মনে ৷
কথা বুকে ফুলরা চেয়ে ডালকে ঢেকে ,
আর কতটা দূরে তুমি ওদের থেকে ?
তোমার জন্যই ঘাসের ওপর ফুলরা ঝরে
এক সকালে একলা যেও ফুল অন্তরে ৷
পাপড়ি দিয়ে জারুল তোমার ওড়না বোনে ৷
কৃষ্ণচূড়া বলবে কিছু তোমার মনে ৷
কথা বুকে ফুলরা চেয়ে ডালকে ঢেকে ,
আর কতটা দূরে তুমি ওদের থেকে ?
তোমার জন্যই ঘাসের ওপর ফুলরা ঝরে
এক সকালে একলা যেও ফুল অন্তরে ৷
কানামাছি
কানামাছি খেলতে
বেঁধে দিয়েছিলাম চোখ ৷
আমার কৈশোর হাত ছুঁয়েছিল
কিশোরী চোখ ৷
চোখের বাঁধন খোলার সুযোগ না- দিয়ে
লুকিয়ে পড়ল সেই চোখ ,
খোঁজার জন্য জাগরণ - ঘুমে
আমার দু'চোখ রেখে গেল
জাগিয়ে ৷
কানামাছি খেলতে
বেঁধে দিয়েছিলাম চোখ ৷
আমার কৈশোর হাত ছুঁয়েছিল
কিশোরী চোখ ৷
চোখের বাঁধন খোলার সুযোগ না- দিয়ে
লুকিয়ে পড়ল সেই চোখ ,
খোঁজার জন্য জাগরণ - ঘুমে
আমার দু'চোখ রেখে গেল
জাগিয়ে ৷
ছাপ
সাগরের আগে
তপ্ত বালিতে রাখতে হয় পা ৷
আরও কিছুটা ভেজা বালি পার হয়ে
সাগরসঙ্গ ৷
নীল আনন্দের ফেনিল উচ্ছ্বাস
ভিজিয়ে দেয় জীবনতট ৷
তটের ওপর অজান্তেই
পায়ের ছাপ রেখে যায় ষোড়শী ৷
সাগরের আগে
তপ্ত বালিতে রাখতে হয় পা ৷
আরও কিছুটা ভেজা বালি পার হয়ে
সাগরসঙ্গ ৷
নীল আনন্দের ফেনিল উচ্ছ্বাস
ভিজিয়ে দেয় জীবনতট ৷
তটের ওপর অজান্তেই
পায়ের ছাপ রেখে যায় ষোড়শী ৷
প্রতিটি কবিতাই সাবলীল আঙ্গিক বহন করে।
উত্তরমুছুনসবকটি কবিতাই সুন্দর।" জীবনপাতার ওপর রং রেখে যায় ষোড়শী। "
উত্তরমুছুনবাহ্।